হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওজা ইলমিয়ার আন্তর্জাতিক ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ মুফিদ হুসেইনি কুহসারি হাওজা ইলমিয়ার মর্যাদা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেন: ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর আমরা হাওজা ইলমিয়ায় উন্নতি ও অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছি।
তিনি আরও বলেন: কিছুদিন আগে হাওজা ইলমিয়া কওমের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে সর্বোচ্চ নেতা “আধুনিক ও উন্নত হাওজা” শিরোনামে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সে বার্তায় তিনি হাওজার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেছিলেন।
হাওজা ইলমিয়ার আন্তর্জাতিক ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান বলেন: হাওজা ইলমিয়ার আজকের অর্জন কেবল ইরানিদের প্রচেষ্টার ফল নয়; বরং বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও কওম হাওজা ইলমিয়ায় অধ্যয়ন করছে। এভাবে হাওজা একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। নতুন হাওজা পুরনো হাওজার চেয়ে ভিন্ন, আর বর্তমানে আয়াতুল্লাহ আ’রাফির তত্ত্বাবধানে হাওজা ইলমিয়া তার শ্রেষ্ঠ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হুসেইনি হাওজা ইলমিয়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন: হাওজা ইলমিয়ার নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইসলামী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার জবাবদিহিতা এবং বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন। পাশাপাশি দ্বীনের প্রচারে মনোযোগী হওয়া হাওজার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এক সময় হাওজা এই গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে কিছুটা অবহেলা করেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে সর্বোচ্চ নেতা হাওজার দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠকে জোর দিয়ে বলেছেন যে তারা যেন দ্বীনের প্রচারে বিশেষ মনোযোগ দেন এবং ইসলামকে-বিশেষ করে যুবক ও নারীদের কাছে-দেশ ও বিদেশে সঠিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বলেন: এ কারণেই কওম হাওজা ইলমিয়া বর্তমানে দ্বীনের প্রচারের ক্ষেত্রে একটি আধুনিক ও অগ্রসর হাওজা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আপনার কমেন্ট